ভোর ৬ টার পরপরই হবে। সুহানের কানে পাশ দিয়ে কেউ একজন হেঁটে যাচ্ছে। পায়েলের শব্দ। সুহান ধীর চোখে চোখ মেলে। হুট করেই মাথার পিছনে থাকা জানালার পর্দাটা কেউ একজন মেলে ধরতেই ঘরভর্তি আলো ঢুকে পড়ল। সুহানের চোখ বুঝে ফেলতেই একজন বলে উঠে।
হাদিঃ একটা মেয়ে ড্রয়িংরুমে বসে আছে।
সুহান চোখ মেলে তাকায়। হাদি সুহানের বেডের পাশের টেবিলে কফির সাথে একটা পত্রিকা মেলে রাখে।
মোটা অক্ষরের একটা হেডলাইনে লেখা-
দ্বীপান্বিতার মুখোমুখি সুহান আহমাদ।
অপারগতায় ভুগছেন শিল্প নির্মাণে।
সুহানঃ এতো সকাল সকাল।
হাদিঃ বাতাসের বাও ইদানীং বুঝিনা।
সুহানঃ মাঝেমধ্যে খুব জানতে ইচ্ছে করে আমাকে নিয়ে কেউ কি ভাবে? যখন দেখি কোথাও না কোথাও সমালোচনা চলছে তখনই বুঝি রহস্যটা চুপ করে থাকাতেই। আর ঠিক এ চুপ করে থাকাতে কিছু অনিয়ম প্রশ্রয় পায়। যার উদাহারণ হাদি আপনি।
হাদিঃ না, মানে পত্রিকার নিউজটার বিরুদ্ধে মামলা না করা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছিলাম না।
সুহানঃ হাদি মিয়া। আপনি কখনো জীবনে বস হবার স্বাদ পাবেন না। আপনার এই মুর্খ সরলতার কারণেই। একটু ধৈর্য্য ধরলে হত না? আপনার কি মনে হয়না, আমার আপনার চেয়ে রাগ বেশি হওয়া উচিত, তাইনা?
হাদি মাথা নাড়ে।
সুহান উঠে বসে। সিগারেট প্যাকেট নিতে থাকে আর হাদি পকেট থেকে লাইটার বের করে জ্বালিয়ে দিতে এগিয়ে আসে। সুহান লাইটার হাতে নিয়ে হাদির দিকে তাকাতেই হাদি আগের মত সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়।
সুহানঃ কেন রাগ হইনা জানেন?
হাদি চুপ করে থাকে।
সুহানঃ ওই যে যখন দেখি আমাকে নিয়ে কেউ ভাবে, আমি কেমন আছি জানতে চায়।
হাদিঃ তার মানে কি আমি ভাবিনা?
সুহানঃ ভাবেন, তবে টাইমিং বুঝেন না। আর আমি প্রতিবারই আপনাকে মাফ করি কারন আমি জানি আপনার মত করে বোকা ভালবাসা আর কেউ বাসেনা।
হাদিঃ ভাই, আপনি এতো কঠিন করে কতা কন।
সুহান সিগারেট জ্বালায়। কফিতে চুমুক দেয়।
সুহানঃ মেয়েটার নাম কি? কি চায়?
হাদিঃ দ্বীপান্বিতা।
#সৃষ্টি
#premdevota
#thegodofart