বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯

বিচ্ছিন্ন গল্প - প্রেমদেবতা

০১

রবীন্দ্রনাথ নারীর মন বোঝেনি,
আর তুই বুঝবি কেমনে?
নারীর যত ছলাকলা,
চোখ খুলে দেখবি
নারীর যত রঙ তামাশা
মুখ বুঝে সইবি।
সে কাছে আসতে যাবে-
ইংগিত ইশারায় চোখ নাচাবে
প্রেম প্রেম খেলায় মন ভোলাবে।
পারলে তুই নজরুল হবি
না পারলে নারীর গল্প
রঙিন নেশায় চাপা দিবি।


০২

তোমার মনে আছে, সেই অপরাহ্নের কথা? 
তুমি আমি মিশে গিয়েছিলাম 
সব ভুলে আত্নিক সুরে। 
মনে আছে, তপ্ত দুপুরে 
তুমি ছুয়েছিলে আমার তনুমন!! 
আর আমি প্রমত্তা কীর্তিনাশা হয়ে 
আকড়ে ধরেছিলাম স্বর্গীয় ভালবাসায়। 
মনে আছে কি সেই মার্চ মাসের 
দ্বিচক্রযানের অভিযান? 
তুমি সবটুকু বিশ্বাসে 
আমার শার্টের বুক টেনে ধরেছিলে। 
যেমনটা বাজ পাখি ছু মেরে 
ঊড়ে যায় নীলাম্বরে। 
হ্যা, তুমিই ছিলে 
আর ছিল আমাদের দুচোখ ভরা স্বপ্ন।

০৩.

ঘুম নাই বেশ কয়েকদিন হল।
প্রিয়জনের বাধ্যতামূলক শয্যায়।
কি করে হবে শান্তির ঘুম,
ঘরের হাসি যে পত্রঝরার মত শুকিয়েছে।

০৪.

আমার ভীষণ খারাপ লাগে
যখন তোমার জন্য লেখা
অনাদরে পড়ে থাকে।
আমার খারাপ লাগে,
আজিমপুরের গলিতে পদচিহ্নের
ছাপ গুলো হারাচ্ছে বলে।
খারাপ লাগে, ভুলের পরে
শাসনহারা হয়েছি বলে।
আমার ভীষণ খারাপ লাগে
প্রদীপ জ্বেলে আমায় খোজনা বলে।
খারাপ লাগে খারাপ লাগে
মৃত্যু যন্ত্রণায় বেচে আছি বলে।
খারাপ লাগে, জীবনের বাকে
মিথ্যে আয়োজনে থাকতে।
খারাপ লাগে জড়িয়ে ধরে
চিৎকার করে কাদতে পারিনা বলে।


০৫.

অতঃপর অপরাহ্নের চোখাচোখি
চুপ থেকে আবেশিত অনুভূতি।
অসমাপ্ত বিদায়ে রেখেছি প্রেম
তোমার ওই দৃষ্টিপানে।

০৬.

অরণ্যচারীর ঘর যেমন খোলা আধার
স্বপ্নচারীর চোখ তেমনি চকচকে।
আর নির্লিপ্ত হাসির আবেশ
ঠোট জুড়ে অর্ধচন্দ্রাকার প্রেম হয়ে রয়।

কাছে গেলেই চুম্বকের মত
আঁকড়ে ধরে, ঝোকের মত
চুষে নেবে উষ্ম নরম প্রেম।

০৭.

তোমায় ভালবাসি বলেই তো,
দুরত্ব হলে চিনচিনিয়ে ব্যথা বাড়ে।
কোলাহলে ফুটে ওঠেনা,
নিরবতায় আকড়ে ধরে।
হে শহর তুমি আমার সব
দিয়ে কেড়েছ আবার সবই।
প্রতারক প্রেমের মত
তুমিও করে দিচ্ছ দূর পথগামী।


০৮.

বলোনা কেন তোমার মুখটি
চাঁদের মত স্নিগ্ধ জোছনাকুমারী?
বলোনা কেন আমি অভিশপ্ত তোমায় ছুঁইতে,
বলোনা কেন তারাগুলো তোমার
শরির ছুঁইলে আরো উজ্জ্বলতা পায়,
বলোনা এমন বর্ষণ সন্ধায় কেন,
আমি তোমায় আকুলতায় চাই।
তোমার হাসিতে ঠোটের উষ্মতায়
কেন এমন অস্থিরতা জাগায়।
বলোনা কেন তুমি আমার স্বপ্নঘোর হয়ে
লালপানির ঝারে হাসো পরম ভালবাসায়?
তোমার প্রেমে মত্ত, মত্ত আমার অস্তিত্ব
দিনের পর দিন তোমার শুদ্ধ আবেগে।
আমি তোমার মাতাল প্রেমিক,
তুমি দেবী আমার হৃদয় প্রতিমা।


০৯.

লালপানি আমি তোমায় ভালবাসি
তোমায় বিনে খুব কষ্টে কাটে আমার দিনপঞ্জিকা।
লালপানি তুমি আমার সেরা সুখ দেবীবিনে।
লালপানি তোমায় নিয়ে মরিব হাতে
ধ্রুম্রশলাকা নিয়ে ১৯ ডিসেম্বর ভোর রাতে।

১০.

আমি বিসর্জিত দেবতা।
নতুবা মনুষ্যচরিত কেউ।
স্বপ্নচারিনীর অপ্রিয়,
আবার সাঝপরীর শ্রদ্ধানন্দ কেউ।
আসলে আমি প্রেমদেবীর অহংকার,
স্বরস্বতীর সৃষ্ট সুদখিনার পাপাই।

১১.

প্রেমের জ্বরে তুমি আক্রান্ত
আমি যে ম্যালেরিয়ায়।
তুমি খোঁজ নাপা,
আমি খুঁজি ফ্যালাজিন।
প্রেম বুঝতে তুমি বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড দেখো,
আমি খুঁজি রবি ঠাকুর।

১২.

তুমি ভেবনা তোমায় ভুলে আমার জীবন যাপন।
তুমি আছো অস্তিত্বে মিশে।
তুমি ভেবোনা, তুমি ভাবনাহীন,
তুমি তো আমার ছন্দে বাধা কবিতা।
তুমি ভেবোনা তুমি অতীত,
তুমি সদা জাগ্রত শ্রেষ্ঠ দেবী।
তুমি ভেবোনা আমি সুখে আছি,
আমি সুখী তাও তোমার বিচূত্যে আমি অধীন।
ভালবাসি সুদখিনার কসম
ভালবাসি সাঝপরীর শ্রদ্ধায় তুমি যেমন।

১৩.


এই গল্পটা আমার তোমার,
সংগোপনে কাছে আসার।
কি জানি কোন টানে,
আবেগ এসে তোমার তীরে ভিরে।

এই সময়টা তোমারও চেনা,
কাছে চাইলেও দূরে রাখো।
এই গান এই কবিতা,
তোমার আমায় রচে
অস্বীকৃত প্রেমে।

তুমি বুঝেও না বোঝায় থাকো,
আমি বুঝতে গিয়েও অবুঝ সাজি।
তাই রোজ রাতে তোমার হয়ে
আমি দুরত্বের মাঝে ভাসি।

১৪.

কেউ সুখে নেই,
দরজার ওপাশের
সরল মুখটিও সুখে নেই।

নাটাই ঘুড়ির দুরত্ব নয়,
অনুশাসনের ফলাফলে
কেউ সুখে নেই।

তুমি ঘর ছেড়ে ঘরে গেলে,
আমি ঘর ছেড়ে যন্ত্রণালয়ে গেলাম।
তুমিও অভাবে খোজ আঁকড়ে ভালবাসা।
আমি ধারণ করি তোমায়, নিয়ে যন্ত্রণা।
তুমিও আছো আমিও আছি
বিশ্বাসের যায়গায় দুজনেই কাদি।
তুমি দোয়া দিয়ে যাও আমায়,
আমি আশীর্বাদে রাখি তোমায়।
কিচ্ছু করার নেই তোমার আমার,
উন্মুক্ত হোক ধর্মপথ সবার।

১৫.


আমি একটা প্রেমিকা চাই।
যে আমায় নিয়ে খেলবে,
মাধুরীর চাহুনি আবেগে।

আমি একটা প্রেমিকা চাই,
যে বুক জড়িয়ে গাইবে-
আমিতো তোমার চিরদিনের
হাসি কান্নার সাথী।

আমি এমন এক প্রেমিকা চাই,
যার কথার শ্রোতা হয়ে লিখব কবিতা।
আকাশে জাগবে পূর্নিমা
জোনাকিরা নাচবে বিহ্বলিত হয়ে।
এমন প্রেমিকা চাই,
যার দুরত্ব পথের মাপে না হয়ে
মনের টানে হবে আপনাতে।

১৬.

কন্যা এসো তোমার সাথে
ওপেন্টি বায়োস্কোপ খেলি।
কন্যা তোমার সাথে এসো
ছক বাধা জীবনের বাহিরে ভাবি।
কন্যা এসো তোমার সাথে অতৃপ্ত
প্রতিটা সকালের দুষ্টুমি কাটাই।

১৭.

তোমরা নাহ তুমি, হ্যা তুমি;
আমায় কবি ভেবে আমার কথা গুলোকে
বড্ড অবজ্ঞা করো।
বিশ্বাস করো আমি সাহিত্য জানিনা।
এই বিষয়টা নিয়ে ভাবিনি কভু,
যদি ভাবি তবে শব্দ চয়নে বিষম খাব।
যাকগে ওসব কথা বরং বলি তোমায়
আমি তোমায় সত্যি বলছি,
ভুলের অভিমানী হয়ে কি লাভ লক্ষীটি?
আমি যে বড্ড অসহায় এই একলা রাতে!

তুমি যা চেয়েছ, আমি বুঝিনি
তুমি যে আবদারে নিজের ভেতর পুড়ছ,
আমি তো সেই প্রতিদানের বেলায় ভিখারি।
যদি পারো খানিকটা আমার হয়ে একটু হাসবে?


১৮.

আমি দেখছি তোমার নাভির সৌন্দর্য,
ছুঁয়ে দেখিনি অদ্যম ইচ্ছেতেও।
সাহস নাকি সুযোগের অভাবে,
আজো রহস্যময় সেই মুহুর্ত যে।

১৯.

সমুদ্র, আমি দিনের আলোয়
তোমার কাছে আসিনা।
কেন জানো তো?
জানি, বলবে না।

আমার কাছে থেকে তোমার শুনতে
ভীষণ ভালোলাগা কাজ করে।
আচ্ছা, থাক তবুও বলি।
দিনের আলোয় হাজারো মানুষের কোলাহলে
বিলীন হয় তোমার আহাজারি।

তাই আমি মধ্যরাতের পথচারী
এসেছি তোমার তটে।
তোমার কান্না শুনবো বলে
একান্ত নিভৃতে।

সমুদ্র, তুমি কি দেবী চৌধুরানীর মত
কূল খুঁজে বেড়াও?
হ্যা, তাইতো দেখছি
তুমি আছড়ে পড়ছ তীরে।

অথচ দেখছ না,
তটে বসে আছি আমি দেবতা।
আমি আজ ঘুমাইনি।
আর ঘুমাইলেই কি বা আসে যায়,
স্বপনে তো তোমার সাথে চিঠি লিখিই।

তুমি আর আমি পার্থক্য কোথায়?
হয়ত একটাই, তুমি বিশাল আর আমি ক্ষুদ্র।

২০.

তোমার বুকের অন্তর্বাসের নিচে
যে কষ্ট লুকিয়ে আছে,
আমি সেই কষ্টের সুখ হব।

২১.

পানশালার অন্ধকার আয়োজনে,
প্রতি সাঁঝেরবাতি জ্বলে লালপানির চুমুতে।
সিগারেট হাতের ছেলেটি গুমরে লুকায়,
অপূর্ণতার রিক্ত হস্তে কষ্টলভ্য উম্মাদনায়।

ছেলেটি ভালবাসা চায়,
কারো বুকের আবেগে স্নান করিতে চায়।
সারা দিবা ব্যস্ততায় কাটায়,
সাঁঝের প্রদীপ্ত নিকষায় শুধুই
প্রেম চায়, তৃপ্ত বিশ্বাসে।

২২.

এই সেই বেলা
যার স্নেহনিলয় ভরে ছিল
আমাদের চঞ্চল হৃদয়।
আমি রোজ না হলেও
আসি ফিরে বারবার পাইতে
তোমার ঘ্রাণ।

২৩

কতদিন হলো বলোতো দেখি,
তুমি বলতে পারবেনা...
কারন অপেক্ষার ক্যালেন্ডার
আমি প্রতি রাতে গুনে রাখি।

তুমি ভাল আছো?
কি করছ, ঘুমিয়ে আছ?
নাকি কারো কাঁধে মাথা রেখে
জোছনা স্নান করছ!
আমি খুব ভাল আছি,
তোমার গল্প করে সুখেই আছি।

আমি সত্যিই ভাল আছি,
মনের মাঝে শান্তি অনুভব করি।
মাঝে মাঝে ইন্দ্রানী সেনের গান শুনি,
কখনও সুমনের মত বলে উঠি,
ও গানওয়ালা আরেকটা গান গাও
আমার আর কোথাও যাবার নেই-
কিচ্ছু করার নেই...

২৪.

এমনি করে কেউ কাছে এসে
কপালে প্রেম একেঁ,
বিষণ্ণতায় ডুবিয়ে
আঁধারের ঘুম হয় বিলীন।


এমনি করে বিশ্বাসটা ভেঙ্গেচূড়ে
হয়ত আমারই মত ভুলের ফাঁদে
নিষ্পাপের আঁড়ালে নষ্ট করে জীবন।

তোর বাড়ির পথে যত কবিতা
তোর ঠিকানায় ফেরত আসা---
আমায় বুঝাতে, ভুল ভাঙ্গাতে
কত কথা স্তবদ্ধতায় রয় পড়ে।

যেদিন ভুল ভাঙবে বুঝতে শিখবে
আবেগ বাস্তবতার কিঞ্চিৎ ব্যথা।
সেদিন আমি হব মহাপুরুষ তোমার
কান্নার জলের চোখের পাপড়ির আচঁড়ে।
ক্যানভাসে রাখবেনা ধূলোর ভয়ে
বুক পাঁজরের ভাঁজে আঁকড়ে নিবে
স্তব্ধতার দিক্বিদিক চিৎকারে।

২৫.

জানালার পর্দাটা যখন দমকা হাওয়ায়
উড়ে যায় লাজুকতায়,
ফাঁক গলে সোনালী আলোয়
তোমার ঘুমন্ত রহস্যময়ী মুখটা
নিষ্পাপের ছোঁয়ায় মায়াবী হয়ে উঠে।


আমি কল্পনার সব খেলায়
উত্তেজিত হয়ে যাই
তোমাকে কাছে পাবার অহংকারে।

আমি স্পর্শে প্রেমের আবির মেখে যাই,
তোমার দীপ্তিময় চোখের পাতায়।
ছুঁয়ে যাই তোমার কপল হয়ে,
ঠোঁটের নরম তিলে।

তুমি নড়ে চড়ে ধীরে চোখে
স্থির দৃষ্টিতে তাকাও মোর পানে।
আমি কাছে থেকে কাছে এসে
নাকে নাক ছুঁয়ে বলছি তোমায়
তোমাকে ভালোবাসতে চাই...


Warning advisory: ""Never believe in my eyes and stay away from my smile...""

অসহায়ত্ব

চেয়ে দেখা ছাড়া আমার কিচ্ছু করার নেই। টেনে আঁকড়ে রাখার ক্ষমতা নেই আমার। আমি অযত্নে গড়া মাতাল খারাপ ছেলেটা। আমি মিষ্টি মেয়ের রেখে যাওয়া সঠিক স...