রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

ছেলেটি - প্রেমদেবতা

ছেলেটি কেমন যেন, তাইনা স্রোতসিনী?
কেমন?
কেমন যেন অদ্ভুত! ঠিক অদ্ভুত না,
একটু গোছানো, অনেকটা অগোছানো।
দেখতে মোটেও সুন্দর না।
কেমন যেন বাচ্চা কাচ্চা ভাব।


তো তাতে তোমার কি সমস্যা রাণী?
আমার কোন সমস্যা নেই তো।
তবে ওই ছেলেকে নিয়ে এতো ভাবনা কেন?


ভাবনা? হা হা... হাসালি মোরে।
তাই বুঝি? তবে কে খোঁচাচ্ছে,
খুঁটে খুঁটে কে দেখছে ছেলেটাকে?


দেখছি কইরে? চোখের সামনে এলো তাই বললাম।


এই স্রোতসিনী, একটা বিষয় খেয়াল করেছিস?
কি বলো?
ছেলেটার চোখ দেখেছিস?
কোন ছেলের?
কোন ছেলে আবার, তুই মনে হয় বুঝিসনি?
বুঝেছি, তবে পরে আবার পল্টি মারিও না।
স্বীকার করো, তুমি খুঁটে খুঁটে দেখছ!


হ্যাঁ, দেখছি তো কি অন্যায়টা করেছি?
অন্যায় করনি, অন্যায়ের কিছু নেই।
এই তুই রাখতো তোর গল্পের বইটা-
দেখ, ছেলেটা দেখতে বাচ্চা হলেও,
চোখটা কিন্তু সুন্দর।


দাঁড়াও দেখছি।
হুম সুন্দর। আচ্ছা রাণীপু,
তুমি কি প্রেমে পড়েছ?
প্রেম? সে আবার কি?
আমি বাবা প্রেমটেমের ধার দিয়ে যাইনা।
প্রেম মানেই যন্ত্রণা...


তাই তো টের পাচ্ছি
যন্ত্রণা দিয়ে মারছ আমায়।
হ্যাঁ, তোকে তো ভালবাসিই।
এই এই বিষয়টা দেখ দেখ!


হুম, হাসিটা ও কিন্তু চোখের সাথে যায়।
তুমি কি কাজ ফেলে এলবাম নিয়ে বসলে।
হুম, ফেসবুক মনে করে দিল তাই,
ক্লিকের পর ক্লিক করে যাচ্ছি।
সময় তো কাটেনা।
সময় কাটানোর ভাল উপায় এছাড়া আর কি আছে?


ছেলেটা কে আপু?
মাঝে মধ্যেই দেখি তুমি তার কথা বলো।


ওর নাম!!! ------------- ঘুম।
মানে ?
ঘুমিয়ে আছে তো তাই।


তোমার এই ইয়ার্কি করাটা গেলো না।
হুম সেটাই।
এ আবার কেমন কথা, হুম সেটাই-
ভীষণ রাগ হয় তোমার এই শব্দ শুনলে।
আচ্ছা, আর বলবোনা।


আবার?
কি?
উদাসিনী ভাব আনলে কেন?
এমনিতেই।
তোমার কি হয়েছে বলোতো?
এই ভাল এই খারাপ।
যাকগে, ছেলেটার ছবি দেখছিলে।
কি কি দেখছো আর?


বিশেষ কিছু না, খুব বেশি কিছু নেইতো
অর্থহীন কিছু কথা আর বিরক্তিকর স্মৃতিছাড়া।
স্মৃতি? ঠিক বুঝলাম না।
বুঝবি কিরে, আমি নিজেই তো বুঝে ওঠার আগে
ছেলেটা মিথ্যে বলে চলে গেল।


চলে গেলো মানে? কে সে?
সে কে আমি নিজেও জানিনা।
তবে কই গেছে আমি জানি।
যেখানে একদিন আমিও যাব।
এক চাদরে ঘুমিয়ে পরতে।

Warning advisory: ""Never believe in my eyes and stay away from my smile...""

বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

বুঝতে পারছো? - প্রেমদেবতা

আমি একটু একটু করে তোমার হচ্ছি!
তা কি তুমি বুঝো?
বুঝতে পারো, আমার রাত যে
ইদানীং ছোট হয়ে আসছে?
বুঝতে পারো, আমি যে কথা বলতে শিখেছি?
কে শেখালো অমন ভাষা,
যা ব্যাকরণ ভেঙ্গে চুড়ে নিয়ম করে
শুধু তোমার প্রশংসায় উম্মাদ।
বুঝতে পারো, এই যে প্রতিক্ষা
ভোর হবার পরে ঘুমের স্বপ্ন।


আজকাল তুমিও যে আমার
শিরা উপশিরায় যন্ত্রণা হচ্ছ, বুঝতে পারো?
নাকি হেয়ালির ভাষায় মুচকি হাসো?
নাকি তার অন্তঃরালে তুমিও
বীজ বপণ করেছ আমায় পাইতে!!


নাকি, স্বপ্ন তুমিও দেখছো, রূপকথার মত-
কোন এক সুদর্শন এসে ঘোড়ায় চড়িয়ে
ছুটে যাচ্ছে তেপান্তর পেরিয়ে ঘন অরণ্যে।
তারপর খোলা আকাশের নিচে সন্ধ্যে আসে-
আগুন জ্বালিয়ে পাশাপাশি বসে
আকাশের তারার সামনে হিম শীতল
বাতাসে চুমুর উষ্ণতায় ভালোবাসার জীবন।


তুমি কি কখনো এমন আদরে ভেবেছ আমায়!!!
নাকি এই রাত গুলো একটা দুঃস্বপ্ন হয়ে
দিনমজুরের পাওনা দেনায় বিলীন হবে?


নাকি, স্বপ্ন দেখতে নেই তুমুল ভালবাসায়,
অন্তঃত আমার মত দেবতার।
Warning advisory: ""Never believe in my eyes and stay away from my smile...""

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮

আমার আজকাল - প্রেমদেবতা

আমার আজকাল কাব্য আসেনা,
কে জানে কোন অভাবে মিলেছে জীবন।
আমার আজকাল নীতিকথায় মন ভরেনা,
কে জানে কোন কারণে পথভ্রষ্ট মন।


আমার ইদানীং রাত কাটেনা,
দিনের আলোয় সময়ও ফুরায়না।
আমি ইদানীং সম্পর্ক ভুলেছি
আপনাতে ডুবেছি নিষিদ্ধ পানিতে।

আমি যাচ্ছেতাই জীবন কাটাচ্ছি,
বেখেয়ালি হয়ে পথ ধরেছি।
নিষিদ্ধ পানির অনুভূতিতে
জাগতিক মায়াজাল ভুলতে শিখেছি।
Warning advisory: ""Never believe in my eyes and stay away from my smile...""

খুব দোষের হত কি? - প্রেমদেবতা

যে সময়টা আমার সাথে
গোধূলির ক্যানভাসে চায়ের চুমুকে ছিল?
সে সময়টা আমাকে এড়িয়ে অন্যের হয় কেন?


এমনটা হলে কি খুব ক্ষতি ছিল,
জোছনা স্নানে আলিঙ্গনে জীবনের গল্প হত।
আমি সারাদিনের পরিশ্রমের ভেজা শার্টের
বুক পকেটে তোমার জন্য কাজল নিয়ে ফিরতাম।
আর তুমি সকাল হতে সন্ধ্যে অবধি ঘরের কাজে
ব্যস্ত হয়ে মেজাজ খারাপ অনুভূতি জমিয়ে রাখতে।


যখন কলিংবেল বাজতো, দৌড়ে ছুটে এসে দরজা খুলতে
আর আমি ক্লান্ত উচ্ছাসিত ঠোঁটে তোমার কোমর ছুঁয়ে
আমার থুঁতনিতে তোমার কপাল পরশে নিতাম।
মাঝে মাঝে তোমার সিঁথির রেখা দেখে বলতাম
এই পথ যদি শেষ না হয়, তবে কেমন হত তুমি বলতো?
অথবা তোমার মুখটি তুলে চোখের পাতায় চুমু দিয়ে বলতাম,
এই নে পাগলিনী, তোর চোখ দুটি কাজল জড়িয়ে নে,
নয়তো কারো নজর পড়ে যাবে।


তুমি বলতে, দিলে তো সারাদিনের অশান্তি-
এক কথায় দূর করে দিয়ে।
কি করে এমন মন্ত্র জানো?


আমি মুচকি হেসে বলতাম,
সোনার কাঠি, রূপোর কাঠির সন্ধান তো
রাজকন্যা জয়ের আগেই তেপান্তরের মাঠ ঘুরে পেয়েছি।


তুমি টেনে নিয়ে দরজা বন্ধের ছলে
আরেকবার তোমার ঘ্রাণে বুঝিয়ে দিতে
এই রাত শেষ হবার নয় আজ।


গোছলে শেষে যখন ভাত নিয়ে বসতে তুমি,
তুমি ঠিক ঠিক ভাত জুরিয়ে হাসির আহ্ববানে
পাবদা মাছের ঝোল পাতে তুলে দিতে।
মাছ তোমার পছন্দ না!
তবুও মাছ রান্নাটা শিখেছ অবাক টানে।
বলো এমনটা হলে কি খুব দোষের সংসার হত?
হতো কি?


আচ্ছা এমনটাও তো হতে পারতো,
আমি তোমায় ভাত খাইয়ে দিতাম।
তারপর একসাথে থালাবাসন ধুতে চাইতাম।
তুমি ধমকের সুরে, আমায় বারণ করতে।
আর আমি বাধ্য হয়ে তোমার পাশে বিচ্ছিন্ন আলাপনে থাকতাম।
তারপর, তোমার বিছানায় নরম সাদা চাদরে
আমি অপেক্ষা করতাম, ব্যাথানাশক মলম নিয়ে।
তোমার তো মাথা ব্যাথার অসুখটা আছে-
তাই রোজরাতে তোমার ঘুমপরী আসা অবধি
আমি মালিশ করতাম।
তুমি ঘুমিয়ে পরেছ ভেবে ঢুলুঢলু চোখে
তোমার পাশটায় মাথা এলিয়ে দিতাম।
ঠিক মধ্যরাতে ফিসফিসিয়ে আমার উপর ঝুঁকে
তুমি এমটাও তো বলতে পারতে-
তুমি কি তোমার হাসনাহেনার ঘ্রাণ পাচ্ছনা?
আরো বলতে- এই, তোমার রানী আজ তোমার হতে চাইছে।
আমি সম্মোহিত হয়ে তোমার কাছে নিজেকে হারিয়ে দিতাম।
বলো এমনটা হলে কি খুব দোষের সংসার হত?
হতো কি?
Warning advisory: ""Never believe in my eyes and stay away from my smile...""

শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮

আমাদের গল্প - প্রেমদেবতা


তুমি আমার এক জীবনের সব কিছু।
তোমাকে নিয়ে ভাবনার ঘরে অন্তহীন রহস্য।
তোমায় না পাওয়ার যন্ত্রণা থেকে
বুঝিতে পারি কতটা নিখাদ তোমায় ভালবাসি।
আবার দিনে দুবার করে পানশালার অন্ধকারে
চাপা কান্নার সাথে বর্ষণের আওয়াজে হেসেও ভালবাসি।
অনেকেই জানে বৃষ্টিজল আমার অপছন্দ,
আসলেই কি তাই স্বরস্বতী?
কিভাবে বৃষ্টিজল আমার অপছন্দ হতে পারে?
কোন এক সাঁঝের আকাশে ঝুম বৃষ্টিধারায়
তুমি আমি সিক্ত হয়েছি যে গভীর আবেগে।


আমি বারবার হেরে গিয়ে তোমায় কাঁদিয়েছি,
অনেক অপ্রিয় বৈশিষ্ট্যময় কাজের মাধ্যমে
তোমাকে কষ্ট দিয়ে আসছি দিনের পর দিন।

এই ভোরটা খুব আনমনে ঠুকরে কেঁদে হেসেছি,
বেলকুনি দিয়ে শহরটা দেখছি।
আমি তুমি একই শহরে একই অভিনয়ে
দিনের পর রাত হয়ে মেঘের মত ভেসে যাচ্ছি।

স্বরস্বতী, অনেক দেয়া কথার বরখেলাপে অভিযুক্ত আমি,
কি করব বলো, নিজেকে আগলে রাখতে জানিনা যে আমি।

আমি তুমি ভালো আছি,
ভালো থাকার কথা বলি।
এ অধ্যায়ের গল্প কোন একদিন
বৃদ্ধকালে শীতের বিকেলে মাদুর পেতে
তোমার নাতিনাতনিকে
পিঠা খাওয়ানোর ছলে বলিবে,
ঠিক রূপকথা বলে নিজের অজান্তে ছলছল চোখে।


Warning advisory: ""Never believe in my eyes and stay away from my smile...""

বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৮

মন খারাপ হয় - প্রেমদেবতা

তুমি ভাবছ ওপাড়ে বসে
কত সহজেই ভুলে আছি তোমায়।
ভাবছ, এতদিনের স্মৃতিকথা ভুলে
কোন সুখে যাচ্ছে দিনকাল আমার।
আর অভিমানে চোখ ফুলাচ্ছ
আড়শির সামনে গভীর রাতে।

তুমি কি দেখেছ আকাশটা চিৎকার করছে?
দেখেছ কি রাতের রাজপথ ভিজেছে
আর সোডিয়াম আলো মুখ থুবড়েছে
আমার দুপাশে অসুখেরা সংসারী হচ্ছে।
কতটা অসহায় হয়েছে আমাদের ভালবাসা
সামাজিক আয়োজনে দুরত্ব হাসছে তামাশার ভাড়ে।

তুমি ব্যস্ততা ঘিরে ভুলের থাকার অভিমানে
দক্ষতার সাথে অভিনয় করে যাচ্ছ।
আমি বিদীর্ণ চিৎকারে বলছি
ভালবাসি তোমায় কারণেঅকারণে।

আমারো তো মন খারাপ হয়,
তোমায় ভুলে থাকার অভিনয়ে মাততে।
মন খারাপ হয় তোমাকে সরিয়ে রাখতে।


Warning advisory: ""Never believe in my eyes and stay away from my smile...""

তুমি কি যন্ত্রণা - প্রেমদেবতা

তুমি কি যন্ত্রণা,
নাকি শুভ্রতার মেঘের ভেলা?
কি জানি, আমি জানিনা
আজকাল তাও বুঝিনা।

তুমি কি সিগারেটের মতই?
যা যেনে শুনে আমাকে পোড়াও!
তুমি কেমন জানি মাছরাঙ্গা পাখি
চুপটি করে থাকো, ক্ষনিকবাদে উধাও!

আমার মন খারাপতো থাকেনা,
তবুও মনের উপর আমার নেই প্রভাব।
তুমি আমি দুরত্বে ভাসি
ভাসতে ভাসতে শুকতারা হয়ে ঝলসে পরছি।

হয়ত তুমি হয়ত আমি, পাল্টে গেছি
তবুও বালিশ প্রতিদিন রোদে রাখি।
এই স্থান রয়েছে; রয়েছে ভালবাসা,
তবুও ভুলে থাকার নাটকে শ্রেষ্ঠাংশে আমরা।

তুমি হয়ত একটু বদলেছ
নাকি সময় বদলেছে সামাজিক প্রয়োজনে?
এ কি সেই তুমি আশ্রয় খুঁজে পেয়েছ
তোমার নরম গাল যতনে রাখতে তার বুকে?

আমি পথের ভুলে বারবার আসি,
তোমার পথের খোঁজে; সিগারেট হয় সঙ্গী।
Warning advisory: ""Never believe in my eyes and stay away from my smile...""

খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি।

 এই আকাশটা দেখেছ?  সবুজের উপর নীল পাখি ওড়ে সারি সারি। পুকুর ধারের বাড়ি যেন সবুজের মাঝে আড়ি। তার মাঝে চিলেকোঠায় আমি! আধুনিক এক প্রাণী।   দেখছ...