মৃদ আলোর খোপটির ঘরে
টেবিল সাজিয়েছি লালপানিতে।
চুমুকে চুমুকে যন্ত্রণাবোধ
করছে আমায় বেহুশ।
কি আসে যায় বালিকা তোমার?
এমনি কেটে যাক জীবন
আক্ষেপ নিয়েছি করে আপন।
আমার কবিতার ভাষা উবে গেছে।
সম্পর্কগুলো ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
যে তুমি এ চোখে গভীরতা খুঁজে নিতে,
সে তুমি কার বুকে বিশালত্ব খুঁজে নিচ্ছ?
আমি একা, একাকিত্ব খুঁজে নিয়েছি
একা থাকার অভ্যাস লালপানিতে ডুবে দিয়েছি।
আমার প্রেম লালপানি,
অকল্পনীয় বাকি সব।
সব যাবে একদিন ছেড়ে,
শুধু লালপানি আমার রবে।
এপারওপার তুমি আমি,
আত্নিক আবেগে বাষ্পে ভাসি।
নয়ন আড়ালে পথচলা
ভালবাসি দেবী এইটুকুই সত্যি।
এই যে শোন।
আমাকে বলছেন?
জ্বি।
বলুন।
আপনি কি দেবী?
হাহাহা....
হাসছেন কেন?
আমি দেবী! হুম...
যে দেবতা প্রতি সাঁঝে,
লালপানির চুমুকে আমায় খোঁজে।
ভালবাসা আসলেই বর্নিল,
আর ভালবাসার প্রতিকৃতি
হিসেবে তাইতো সৃষ্টিকর্তা
রুপ দিয়েছেন নারীকুল।
আর এই বিচিত্র সৃষ্টি নারী-
তাইতো মাঝেমধ্যে এমন রুপে আসে,
যখন আমি বিভ্রম হয়ে যাই -
বিচিত্র অনুভূতির লাস্যময়তায়।
আকাশে আজ আকাশী রঙ নেই
ধূসর হয়েছে মেঘের ভারে।
বাহিরে আজ কুয়াসা নেই
ঘোলাটে হয়েছে বৃষ্টিজলে।
এ বর্ষণ নিদারুণ অভিমান
একলা করে যায় সব কেড়ে আমায়।
তোমার আমার লেপ্টে থাকা স্নান
কালের পরিবর্তনে ভুলে থাকার গান।
আমি নিরন্তর প্রেমিক,
ভালবাসায় সিক্ত ব্যর্থ।
সংসার আমার সব নিয়ে,
শুধু বেলা শেষে শুন্যতার যোগফল হাতে।
সেদিন সন্ধ্যা আকাশে
জেগে উঠেছিল
উজ্বল দুটি তারা।
কুয়াশার রহস্য ভেঙ্গে,
এই ভুবন ডাঙ্গায়
সুখের পরশ দিয়েছিল-
এক আলিঙ্গনের চুমুতে।
মাতাল চোখে মাতাল সুরে
ডাকব কাছে বুক পাঁজরে।
তুমি এসো এমন করে ছুটে
কোলাহলের চোখ ফাঁকি দিয়ে।
এমন বিশ্বাসের সূতোয়
হাজার বছরের রাত আসুক
ফিরে বারবার।
দিন যায় রাত কাটে,
কেউ কারো জন্য পরে থাকেনা।
আমি ভাল আছি,
ভাল থাকতে হয় আমাদের।
লালপানির চুমুকে চুমুকে জর্জরিত
তোমার ওষ্ঠের চেনা স্বাদ।
আমি সজীব হয়ে যাই তোমায় ভেবে,
যেমনটি বলে লোকে,
দুধের স্বাদ গোলে মিটে।
প্রিয়ংবদা বলছি তোমায়,
তোমার ভালবাসার বিকল্পরূপ কেহ নাই।
প্রিয়ংবদা,
তোমার বিশেষ ছোঁয়া আমায় অশ্লীল করেনা।
বরং ভয় পেতে শুরু করি,
কবে থেকে স্তব্ধ হয়ে যাব
আমি বিরহী আবেগে।
আমি মিলিয়ে যাই, অনুপম উপহাসে।
যা তুমি নও, সামাজিক অনুশাসনসংবলিত নীতিগল্প।
এই পৃথিবীর পরিচিতারা কেবলই হেসে খেলে গেলো,
অভিনয়ে খুব কাছাকাছি এসে স্বপন দেখিয়ে গেল।
কিন্তু কেউ বুকের পাজর চেপে বললো না,
প্রেম তুমি আমার প্রেম দেবতা।
আজকাল আমি আমার হইয়া থাকতে চাই,
বিচূত্য হইব মায়াবল আত্না হতে।
আজকাল অতীতের গল্পের মত
তোমার মনের সেরা পুরুষ
হইয়া থাকিতে ইচ্ছে করেনা।
আজকাল সব অপ্রাপ্তি গোচরে আসেনা।
প্রাপ্তি যখন শূন্যতা দিয়েছে অনেক যতনে।
আজকাল আমি ভাল আছি,
আমার মত করেই ইচ্ছে সম্রাট হয়ে।
কথা দিলাম তোমারে স্বাধিকার দিব,
তোমাতে তোমার ধরা হবে আপনার ইচ্ছায়।
আমি শুধু মাঝেমধ্যে মুসাফির হইব
লালপানির যন্ত্রালয় ছেড়ে নীরব কান্নায়।
এই সময় যাবে কেটে,
নতুন আলিঙ্গনকারীর আদরে।
তুমি বদলাবে তুমি কঠোর হবে,
আমি তখনো মাতাল চোখে
আগেরই মত প্রেম ছড়াব!
প্রিয় দেবীর পূজক হইয়া
পরীর ডানায় ভর করিয়া।
অবুঝ বালিকাবধূ কে জানে
কার হইয়া কই সংসার সাজাবে।
তোমায় কখন ভালোলাগে?
যখন তুমি অনুরণন হইয়া
আমার অক্ষিকোটরে ছলছল
দৃষ্টি নিয়ে আমায় অভিযুক্ত করো,
তোমার একেলা অপক্ষার দোহাইয়ে।
প্রাত্যহিক লালপানির অভিযোগ
কোন অপ্রাপ্তি আমায় স্থির করে দেয়।
আমি নিশ্চুপ অভিযোগহীন প্রেমিক,
কাঁদতে জানিনা স্থির দৃষ্টির একজন।
স্বরস্বতীর দেবতা।
কে যেন কাদে লুকিয়ে
স্বপ্ন ভাঙা সুখ হারিয়ে।
আকাশটা ছিল শরতের
বর্ষণ কেন তবে অবেলায়?
কে যেন চায় বাচতে,
আঁকড়ে ধরে পিছুটানে।
আকাশ ভরা সংসার
সেই আকাশ কেন তবে শুন্যতার।
তুমি আমি বোধহয় একই তিথিতে জন্মেছি!
যে কারণে হারানোর শোক কাছাকাছি সময়ে।
অথবা তোমার আমার চাওয়া হয়ত একই,
ভুল সময়টা সঠিকভাবে আমাদের বাঁক করে দেয়।
আবার হয়ত প্রকৃতি জেতার নেশায়,
আমাদের নিয়ে একটু খেলছে তামাশার ভাড়ে।
নতুবা তৃতীয়পক্ষ অভিশাপের যাদুকরী হয়েছে,
তাই আমার সাথে জড়ানো তুমি, অনুশাসনে শিকলবদ্ধ।
আমিও অবুঝ প্রেম চাই
অগণিত আবেগে ভুল করে।
আরেকবার অবুঝ হতে চাই
পুরোন প্রেমে মাতাল হইতে অপরাজিতা।
মেয়ে তোমায় ছুঁয়েছি গভীরতায়,
যখন তুমি সম্মোহিত হয়েছ,
আমার অক্ষিপটে।
তোমায় ছুঁয়েছি গোপন ঘরে,
যেখানে স্বপ্নলোক অনেক কিছু ভাবে।
নিশির কথা আবছা লাগে।
প্রভাতি যখন কাছে আসে।
নিশির কাছে লজ্জা ভুলি,
দিবার আলোয় গুটিয়েছি।
অবশেষে আপন বিছানায় শরির এলিয়ে দেয়ার পর্ব,
পিছু ফেরা দিনগুলি স্বপ্নময় রহস্যময়।
রাতের লালপানির ঢুলুঢুলু আমেজে
সবটুকুই মেনে নেয়ার চরম বাস্তবতা।
Warning advisory: ""Never believe in my eyes and stay away from my smile...""