যে সময়টা আমার সাথে
গোধূলির ক্যানভাসে চায়ের চুমুকে ছিল?
সে সময়টা আমাকে এড়িয়ে অন্যের হয় কেন?
এমনটা হলে কি খুব ক্ষতি ছিল,
জোছনা স্নানে আলিঙ্গনে জীবনের গল্প হত।
আমি সারাদিনের পরিশ্রমের ভেজা শার্টের
বুক পকেটে তোমার জন্য কাজল নিয়ে ফিরতাম।
আর তুমি সকাল হতে সন্ধ্যে অবধি ঘরের কাজে
ব্যস্ত হয়ে মেজাজ খারাপ অনুভূতি জমিয়ে রাখতে।
যখন কলিংবেল বাজতো, দৌড়ে ছুটে এসে দরজা খুলতে
আর আমি ক্লান্ত উচ্ছাসিত ঠোঁটে তোমার কোমর ছুঁয়ে
আমার থুঁতনিতে তোমার কপাল পরশে নিতাম।
মাঝে মাঝে তোমার সিঁথির রেখা দেখে বলতাম
এই পথ যদি শেষ না হয়, তবে কেমন হত তুমি বলতো?
অথবা তোমার মুখটি তুলে চোখের পাতায় চুমু দিয়ে বলতাম,
এই নে পাগলিনী, তোর চোখ দুটি কাজল জড়িয়ে নে,
নয়তো কারো নজর পড়ে যাবে।
তুমি বলতে, দিলে তো সারাদিনের অশান্তি-
এক কথায় দূর করে দিয়ে।
কি করে এমন মন্ত্র জানো?
আমি মুচকি হেসে বলতাম,
সোনার কাঠি, রূপোর কাঠির সন্ধান তো
রাজকন্যা জয়ের আগেই তেপান্তরের মাঠ ঘুরে পেয়েছি।
তুমি টেনে নিয়ে দরজা বন্ধের ছলে
আরেকবার তোমার ঘ্রাণে বুঝিয়ে দিতে
এই রাত শেষ হবার নয় আজ।
গোছলে শেষে যখন ভাত নিয়ে বসতে তুমি,
তুমি ঠিক ঠিক ভাত জুরিয়ে হাসির আহ্ববানে
পাবদা মাছের ঝোল পাতে তুলে দিতে।
মাছ তোমার পছন্দ না!
তবুও মাছ রান্নাটা শিখেছ অবাক টানে।
বলো এমনটা হলে কি খুব দোষের সংসার হত?
হতো কি?
আচ্ছা এমনটাও তো হতে পারতো,
আমি তোমায় ভাত খাইয়ে দিতাম।
তারপর একসাথে থালাবাসন ধুতে চাইতাম।
তুমি ধমকের সুরে, আমায় বারণ করতে।
আর আমি বাধ্য হয়ে তোমার পাশে বিচ্ছিন্ন আলাপনে থাকতাম।
তারপর, তোমার বিছানায় নরম সাদা চাদরে
আমি অপেক্ষা করতাম, ব্যাথানাশক মলম নিয়ে।
তোমার তো মাথা ব্যাথার অসুখটা আছে-
তাই রোজরাতে তোমার ঘুমপরী আসা অবধি
আমি মালিশ করতাম।
তুমি ঘুমিয়ে পরেছ ভেবে ঢুলুঢলু চোখে
তোমার পাশটায় মাথা এলিয়ে দিতাম।
ঠিক মধ্যরাতে ফিসফিসিয়ে আমার উপর ঝুঁকে
তুমি এমটাও তো বলতে পারতে-
তুমি কি তোমার হাসনাহেনার ঘ্রাণ পাচ্ছনা?
আরো বলতে- এই, তোমার রানী আজ তোমার হতে চাইছে।
আমি সম্মোহিত হয়ে তোমার কাছে নিজেকে হারিয়ে দিতাম।
বলো এমনটা হলে কি খুব দোষের সংসার হত?
হতো কি?
Warning advisory: ""Never believe in my eyes and stay away from my smile...""